Pratyush CDCW (Complete Development of Children and Women) is a social organization established in the year 1999 in the Barasat area of West Bengal, India. The center primarily deals with economic, educational, social, health and hygienic welfare of the uncared poor children and their parents. Pratyush got Registration under Society Registration Act in 2000-2001 (S/98238).
We, the members and well wishers of Pratyush, believe that given the right opportunity many of these children have the potential to develop into a better human being than they would become under their default poor living conditions. We therefore put all the efforts to pass on the necessary components required to create a better future for them.
How can you help Pratyush:
How to send help:
Visit Pratyush centre:
|
আপনি কীভাবে প্রত্যুষ-কে সাহায্য করতে পারেন:
কীভাবে সাহায্য পাঠাবেন:
প্রত্যুষ কেন্দ্র দেখতে আসুন:
|
January 9, 2016
প্রত্যুষের ১৮তম প্রতিষ্ঠা দিবসে স্মারক প্রতিবেদন :
দেখতে দেখতে প্রত্যুষ প্রতিষ্ঠার ১৮টা বছর পূর্ণ হল। যে আদর্শ নিয়ে এই ১৮টা বছর এগিয়ে যাবার চেষ্টা হয়েছে সভ্যতার গোলমেলে যাঁতাকলে পড়ে তার পোষাকী নাম হয়েছে সমাজ সেবা ! না না , আমরা কোন সমাজ সেবার কাজ করিনা। আমরা মানুষের স্বাভাবিক দায়-দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করে থাকি মাত্র। আমাদেরই চারিপাশে যে সব পরিবারের ছেলেমেয়েরা পিছিয়ে আছে (শিক্ষায়, অর্থনৈতিক অবস্থায়, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং শৃঙ্খলাবোধের দিক দিয়ে) সেই সব ছেলেমেয়েদের প্রকৃত অর্থে মানুষ হয়ে ঊঠতে সহায়তা দান করা, তাদের মায়েদের স্বাক্ষর করে তোলা এবং আর্থিক দিক দিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য হস্তশিল্প কেন্দ্র গড়ে তোলা, বাবাদের খারাপ অভ্যাস থেকে সরিয়ে এনে সুস্থ-গঠনমূলক জীবন যাপনে অভ্যস্ত করে তোলা প্রভৃতি কাজগুলো আমরা করে থাকি। ইতিমধ্যে কাজিপাড়া, মধুমুরালি, পুঁইপুকুর, বিবেকনগর, উত্তরহাট, নটিপোতা, শ্রীকৃষ্ণপুর, কদম্বগাছি প্রভৃতি এলাকার প্রায় ২৫০ টি পরিবার প্রত্যুষের সহায়তা পেয়ে এসেছে। ৬টি মেয়েকে প্রত্যুষের উদ্যোগে বিয়ে দেওয়া হয়েছে । প্রত্যুষের অন্তর্ভূক্ত নয় এমন পরিবারের ছেলেমেয়েদের মধ্যে স্কুলের বই, কম্বল, শীতবস্ত্র, খাবার, দৈনন্দিন ব্যবহারের কাপড় ইত্যাদি দেওয়া হয়ে থাকে । আর্থিক ও সামজিক দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকা সভ্যতার অভিশাপ । আমরা মন প্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করি, সেই অভিশাপ থেকে এগিয়ে যাওয়া মানুষরাই পারেন তাদের উদ্ধার করে যথাযথ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে । আমরা সেই কাজটাই মনপ্রাণ দিয়ে করার চেষ্টা করছি ভুল-ত্রুটি সংশোধনের মধ্য দিয়ে । প্রতি বছরই প্রত্যুষের উদ্যোগে অন্তর্ভূক্ত পরিবারসমূহ থেকে কেউ কেউ সরে যান। সরে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, তাদের সহনশীলতার অভাব, শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপনে না থাকার ইচ্ছা, পরিচ্ছন্ন জীবন যাপনের প্রতি অনীহা এবং সর্বোপরি ফেলে আসা জীবনে ফিরে যাবার জন্য প্রতিনিয়ত পুরানো বন্ধুবান্ধবদের উস্কানি। এর মধ্যে বেশ কিছু ছেলেমেয়েকে শিক্ষা শেষ করে ভালো কাজে যুক্ত করা গেছে যেখান থেকে তারা সন্মানের সাথে টাকা উপার্জন করতে পারছে। বাবা ও বড় ছেলেমেয়েকে ইতিমধ্যে সংগঠনের সদস্য হিসাবে যুক্ত করে তাদের প্রত্যুষের পরিচালনা গোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বহু মানুষ প্রত্যুষের বন্ধু হিসাবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। সকলের সন্মিলিত চেষ্টায় প্রত্যুষের আদর্শ উজ্জ্বলতর হয়ে উঠছে । এলাকার মানুষের অকুন্ঠ সহযোগিতা এবং উৎসাহ আমাদের চলার পথকে আরো মসৃন করে তুলেছে। ডাঃ বৈদ্যনাথ মুখার্জী, ডাঃ ঝর্ণা চ্যাটার্জী, ডাঃ অসীম মুন্সী, ডাঃ ধীমান চ্যাটার্জী, ডাঃ শ্যাম শর্মা (প্রত্যুষের কার্যনির্বাহক সমিতির সদস্য), ডাঃ রত্না চ্যাটার্জী প্রমুখ চিকিৎসকগণ প্রত্যুষের ছেলেমেয়ে ও বাবা-মায়েদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে আমাদের কাজের গতি দিয়েছেন বাড়িয়ে। ইতিমধ্যে আমরা হারিয়েছি আমাদের সুহৃদ প্রয়াত পরেশলাল কর্মকার, অন্যতম উপদেষ্টা পরিমল চক্রবর্ত্তী, সদস্য তরুন ভাদুরী ও সজল দে, বাবা সুশান্ত অধিকারী এবং ছাত্র শেখ নাসিরুদ্দীন। বেশ কিছু সহযোগী সংগঠন প্রত্যুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, যেমন – বেলুড় শ্রমজীবি স্বাস্থ্য সমিতি, হিলিং লাইফ- রহড়া, আন্তরিক সাড়া, উলুবেড়িয়ার আইকড, বারাসাত উন্নয়ন প্রস্তুতি… প্রভৃতি । কিছু কিছু সংস্থার উদ্যোগী মানুষেরা প্রত্যুষের বহুধাবিস্তৃত কর্মকান্ডের সাথে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, এদের মধ্যে টি.সি.এস., আই.বি.এম, কোল ইন্ডিয়া, লেক্সমার্ক সংস্থার কর্মীদের নাম উল্লেখযোগ্য। বেশ কিছু সামাজিক সংগঠনও আমাদের পাশে সাহায্যের ঝুলি নিয়ে এসেছেন। বর্তমানে প্রত্যুষে ৪৫ জন ছেলেমেয়ে এবং ২১ টি পরিবার এই সহায়তা পেয়ে চলেছে। প্রতিদিন বৈকালিক আহারের ব্যবস্থা, অবৈতনিক পড়ানোর ব্যবস্থা, নতুন ও পুরানো জামাকাপড় দেবার ব্যবস্থা, শীতবস্ত্র এবং ছাতা প্রদান, বেড়াতে নিয়ে যাওয়া, গান-নাচ-আবৃত্তি-ছবি আঁকা-ক্যুইজ-বুদ্ধির পরীক্ষা, তাৎক্ষনিক বক্তৃতা-বিতর্ক-গল্প বলা শেখানো হয়। প্রকৃতি পাঠ ও পাহাড়ে চড়ার ব্যবস্থা প্রত্যুষ থেকে করা হয়ে থাকে। খেলাধূলার মধ্যে ফুটবল,ক্রিকেট, দাবা, ব্যাডমিন্টন, সমস্ত রকম চিকিতসা, ওষুধপত্র এমনকি পথ্যও দেওয়া হয়ে থাকে সকলের জন্য। প্রত্যুষের নিজস্ব ভবনে ইতিমধ্যে গড়ে উঠেছে শ্রুতিগৃহ, পাঠাগার, চিকিৎসা কেন্দ্র, হস্ত শিল্প কেন্দ্র, রসুই ঘর, অতিথি কক্ষ প্রভৃতি । আগামীদিনে কম্পিউটার রুম, অঙ্কন বিভাগের নিজস্ব কক্ষ, মায়েদের জন্য বড় ঘর এবং বড় ছেলেমেয়েদের জন্য পাঠকক্ষ বানাবার প্রস্তুতি চলছে। প্রত্যুষের প্রতিষ্ঠা দিবসে সকল সহযোগী বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও হার্দিক ধন্যবাদ। আসুন, জানুন এবং মানুষকে প্রত্যুষ-এর কাজকর্ম সম্বন্ধে জানান ।
৯ই জানুয়ারী, ২০১৭ (সোমবার), প্রত্যুষ কেন্দ্রের পক্ষে সম্পাদক ডঃ অনিরুদ্ধ চক্রবর্ত্তী কতৃক প্রচারিত
প্রত্যুষ কেন্দ্র, পুঁই পুকুর রোড, ঘোলারহাট কাজিপাড়া, বারাসাত, উত্তর২৪পরগণা, টেলিফোন–৯৪৩৩৭৩৭১১৫
ওয়েব সাইট – http://www.pratyush.org.in
ইমেল – pratyushfriends@gmail.com
“ভোরাই” পত্রিকা